অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শেষ হয়েছে ঈদুল আজহার ছুটি। তাই ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মব্যস্ত রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। সকালের দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ ছিল কম। তবে দুপুরের পর থেকে সেই চিত্র পাল্টে যায়। দুপুরের পর স্টেশনে প্রবেশ করা প্রত্যেকটি ট্রেনেই যাত্রী ছিল অনেক বেশি।
রাজধানী ফেরা মানুষজন বলছেন, ঈদের ছুটি শেষে আবারও জীবীকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে হচ্ছে। রোববার (২ জুলাই) সরকারি অফিস আদালত খুলবে। তাই যাত্রা পথের ভোগান্তি এড়াতে শনিবার রাজধানীতে ফিরে আসতে হচ্ছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীদের মূল স্রোত আসবে আগামীকাল।
রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কাল ব্যাংক খোলা। তাই আজকে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবারের কেউ আসেনি। তারা আগামী সপ্তাহে আসবে।
ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে ফিরেছেন সরকারি একটি অফিসের তৃতীয় শ্রেণির চাকরিজীবী ইয়াকুব আলী।
তিনি বলেন, নির্ধারিত ছুটি শেষে সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিতি হতে হয়। কাল যেহেতু সবাই আসবে তাই ট্রেনে ভিড় হবে বেশি। এ জন্য আজই ঢাকায় চলে এসেছি।
বেলা ৩টার কালনী এক্সপ্রেসে করে সিলেটে যাবেন বৃদ্ধ হারুন আলী ও তার স্ত্রী খাদিজা। ঈদের সময় বাড়ি না যাওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের সময় ট্রেনে অনেক ভিড় থাকে। তাছাড়া এখানে থাকার কারণে কিছু মাংস চেয়ে নিয়েছি মানুষের কাছ থেকে। বাড়িতে গেলে তো এগুলো পেতাম না। তাই আজকে বাড়ি যাচ্ছি।
এদিকে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজারের কক্ষে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার রুমে থাকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনে মাস্টারের দায়িত্ব আছেন মো. আফছার উদ্দিন। তিনি তো রুমে নেই। আশেপাশে কোথাও হয়ত আছেন।
Leave a Reply